১৫ বছর আগের প্রেমের টানে স্বামীকে দিয়েছেন তালাক। দুই সন্তান নিয়ে এসে তিন দিন যাবৎ রোমানিয়াপ্রবাসী এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন দুই সন্তানের জননী (৩২)। তাঁর দাবি, ওই প্রবাসীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাঁকে জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেন।
তিনি বর্তমানে ওই প্রবাসীর প্রেমের স্বীকৃতি পেতে এসেছেন। এ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়। ওই নারী রাজশাহী মহানগরীর বাসিন্দা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কথিত প্রেমিক আব্দুল আউয়াল সরকার গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় কাচারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে রোমানিয়াপ্রবাসী। এ ঘটনায় ওই নারীর বিরুদ্ধে ওই প্রবাসীর বড় ভাই বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই নারী জানান, আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পারিবারিকভাবে তার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। ওই সংসারে তার ১৬ ও ৮ বছর বয়সের দুটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি তার স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি পুরনো প্রেমের স্বীকৃতি পেতেই এখানে এসেছেন।
তবে আব্দুল আউয়াল সরকার তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার সঙ্গে অনেক বছর আগে আমার পরিচয় ছিল মাত্র এর বেশি কিছু না।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ ফরিদ বলেন, প্রেমের সম্পর্কের ভুয়া দাবি করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে মেয়েটি এখানে এসে অবস্থান করছে বলেই মনে হচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন বলেন, মেয়েটিকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে মনে হয়েছে। তার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললেও তারা মেয়েটির দায়িত্ব নিতে চাননি। আবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :