মহররম মাসের ১০ তারিখ তথা আশুরার দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো— রোজা রাখা। এক সাহাবি রাসুলের (সা.) কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! রমজানের পর আপনি কোন মাসে রোজা রাখতে বলেন?’ জবাবে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি রমজানের পর রোজা রাখতে চাও, তাহলে মহররমে রোজা রাখো। কেননা মহররম হচ্ছে আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন এক দিন আছে, যেদিন আল্লাহতায়ালা (অতীতে) অনেকের তওবা কবুল করেছেন, ভবিষ্যতেও অনেকের তাওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ৭৪১)
প্রসিদ্ধ মত অনুসারে— এই দিনে করণীয় সম্পর্কে দু’টি বিষয় উল্লেখ রয়েছে। এক. রোজা রাখা এবং দুই. এমন কাজ করা যাবে না, যা বিধর্মীদের কাজের সঙ্গে সাদৃশ্য রাখে। আলোচ্য দু’টি বিষয়-ই এই হাদিস থেকে জানা যায়।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলেছিলেন, তখন সাহাবারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এ দিনকে তো ইহুদি-নাসারারা সম্মান করে (‘রোজা’ রাখে)? তখন নবী করিম (সা.) এ কথা শুনে বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আগামী বছর আমরা ৯ তারিখেও রোজা রাখবো...।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ২৫৫৬)
আত-তাগরিব ওয়াত-তাহরিব গ্রন্থে আছে— ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিন পরিবারের জন্য ব্যয়বৃদ্ধি করবে, ভালো খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করবে, আল্লাহ তায়ালা সারা বছরের জন্য তার প্রাচুর্য বাড়িয়ে দেবেন।’
বিশিষ্ট তাবেঈ সুফিয়ান ছাওরি (রহ.) বলেন, ‘আমরা এটি পরীক্ষা করেছি এবং এর যথার্থতা পেয়েছি।’ (মিশকাত ও বায়হাকি)
(তথ্যসূত্র : খানকায়ে এমদাদিয়া আশরাফিয়া ও দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট অবলম্বনে)
আপনার মতামত লিখুন :