বিয়ে-বিচ্ছেদ মানুষের জীবনেরই অংশ। দেশে সময়ের সাথে সাথে বিবাহিতদের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি তালাক-দাম্পত্য বিচ্ছেদসহ বিধবার সংখ্যাও বেড়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (এসভিআরএস) ২০২২-এর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে তালাক, দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের হার বেড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে পুরুষের তুলনায় নারীরা তালাক ও বিচ্ছেদের পথে বেশি এগিয়েছেন। বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, খুলনা বিভাগের নারীরা ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের পথে এগিয়েছেন।
জরিপের তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালে দেশে ১ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ তালাক ও বিধবা দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের পথে হেঁটেছেন, বিপরীতে নারীদের এ হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। শুধুমাত্র তালাক, দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের পথে হেঁটেছেন ১ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
শুধুমাত্র তালাক, দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, ২০২২ সালে খুলনার নারীরা এ পথে সবচেয়ে বেশি হেঁটেছেন। খুলনার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ নারী তালাক অথবা দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এই বিভাগের ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ নারী বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন। তবে এ হার সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগের মেয়েদের মাঝে। এ বিভাগের শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ নারী তালাক বা বিচ্ছেদ নিয়েছেন।
অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রেও এই হার খুলনায় বেশি। এই বিভাগের শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ পুরুষ তালাক বা বিচ্ছেদ নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহীর পুরুষরা, শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বয়সভিত্তি হিসাবে দেখা যায়, দেশের ৩০ থেকে ৩৯ বয়সী নারী-পুরুষ সবচেয়ে বেশি তালাক বা দাম্পত্য বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে বিবাহিত মানুষের হার এক বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০২২ সালে যে হার ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, অথচ ২০২১ সালেও এ হার ছিল ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে অবিবাহিত মানুষের হার আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে, আগের বছর যা ছিল ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ।
অবিবাহিত মানুষদের বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, বয়স হওয়ার পরও বিয়ে না করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগের ৫৫ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক এখনও বিয়ে করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :