‘বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন, ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়ার পাঁয়তারার প্রতিবাদসহ ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনের’ মাধ্যমে গঠিত সংসদ বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৫ দিনব্যাপী দাওয়াতী পক্ষের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামি আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে একটি একতরফা ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্পিকার সূচনা বক্তব্যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দাবি করে নতুন করে সংসদ অধিবেশনের নামে রাষ্ট্রীয় মিথ্যাচার চালাচ্ছে। ৭ জানুয়ারির কথিত নির্বাচনে জনমতের কোনও প্রতিফলন ঘটেনি। বরং ৯০ ভাগ মানুষ ভোট প্রত্যাক্যান করেছে। বহুমুখী সংকট নিরসনে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
ট্রান্সজেন্ডারসহ শিক্ষার অসঙ্গতি দূর করে ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনা, তাহজীব-তামাদ্দুন জাতিসত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কারিকুলাম প্রণয়ন এবং আলিয়া মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তক থেকে অপ্রয়োজনীয় চিত্রগুলো বাদ দিয়ে মাদ্রাসার স্বকীয়তা বজার রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :