মঙ্গল-গ্রহের প্রাণ হারানোর রহস্য

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক।

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৫, ১১:৪৭ পিএম

মঙ্গল-গ্রহের প্রাণ হারানোর রহস্য

মঙ্গল গ্রহ

 

সৌর জগতে প্রবাহিত পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে- কয়েকদিন আগে এমন দাবি করেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। সে হিসাবে ধারণা করা হচ্ছিল লাল গ্রহটিতে শিগগিরই প্রাণের অস্তিত্বও পাওয়া যাবে।

কিন্তু নাসা সে অবস্থান থেকে কিছুটা সরে গিয়ে এখন বলছে, লক্ষ কোটি বছর আগে মঙ্গলেও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। এর আবহাওয়াও ছিল প্রাণের অনুকূল। কিন্তু কোনও এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আবহাওয়া বদলে যায়।

সেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঘটানোর জন্য দায়ী করা হচ্ছে সূর্যকে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সৌর বায়ু, সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মি এবং সৌর ঝড়ের কারণে মঙ্গলের মধ্যে থেকে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রাণের অস্তিত্ব। তারপর থেকেই অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নাসার ‘মার্স অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যান্ড ভোলাটাইল ইভোলিউশন’ (MAVEN) মঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে জানতে পেরেছে- এই গ্রহের চারধারে এখন পর্যন্ত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেনের একটি আস্তরণ রয়েছে। যা প্রাণের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে স্তরটি।

৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি বছর আগে সূর্যের জন্য মঙ্গলের চৌম্বক ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সম্ভবত এই আস্তরণটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তা নিয়ে আরও গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। নাসার পরবর্তী মিশন ২০৩০ সালে। তখনই মঙ্গলে প্রাণের চিত্র আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।

কিন্তু, কীভাবে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের এই পরিবর্তন হলো। MAVEN-র গবেষকরা জানিয়েছেন, তীব্র সৌরঝড়ের ফলে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল থেকে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ গ্রাম গ্যাস সরে যায়। আর এভাবেই একদিন অনেক হালকা হয়ে যায় বায়ুমণ্ডল। ঠান্ডা গ্রহে পরিণত হয় মঙ্গল।

MAVEN-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ব্রুস জেকোস্কি বলেন, কয়েক লক্ষ বছর আগে সূর্যের বয়স যখন কম ছিল, তখন সৌরঝড়ে মঙ্গলের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে।


গো-নিউজ২৪/বিএইচএম 

গো নিউজ২৪।

Link copied!