১৩১ রান দেখে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন অতিবড় বাংলাদেশ সমর্থকও; কিন্তু খেলা শেষে জয়ের নায়ক নাসুম আহমেদ জানালেন, ড্রেসিং রুমে তারা এ রানকে জয়সূচক পুঁজি বলেই ভেবেছেন।
নাসুম জানালেন, ফিল্ডিংয়ে নামার আগে রিয়াদ ভাই বলছিলেন, ‘আমরা এ রানেই ফাইট করবো। ডট বল করবো, যতটুক পারি চেষ্টা করবো জেতার জন্য।’
প্রথম দিকে নাসুম ডট বল করার চিন্তাতেই ছিলেন; কিন্তু সাকিব আল হাসান তাকে ভিন্ন এক পরামর্শ দিলেন। অভিজ্ঞ ও চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার সাকিব নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দিয়ে অনুজপ্রতিম নাসুমকে বলেন, ‘এটা স্লো পিচ। এখানে যতটা সম্ভব গতি কমিয়ে স্লো বল কর এবং খাট লেন্থে না ফেলে যতটা সম্ভব ওপরে ওপরে বল ফেল। দেখবি সাফল্য ধরা দেবে।’
যেমন কথা তেমন কাজ। আর তাতেই সাফল্য। খেলা শেষে সাফল্যের সে রহস্যই শুনিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় ও প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের নায়ক নাসুম আহমেদ।
সিলেটের এ ২৬ বছর বয়সী স্পিনারের কথা, ‘আমি রিয়াদ ভাইয়ের কথামত ওই ডট বলের চিন্তাই করছিলাম। যখন প্রথম দুটো বল করলাম ব্যাক অব লেন্থে, তখন সাকিব ভাই আমাকে বললেন যে, এই উইকেটে আস্তে (স্লো) বলটাই ভাল এবং সামনে করলে ভাল হয়। তো ওটাই চেষ্টা করেছি। চারটা ওভার যে করেছি সবসময়ই সাকিব ও রিয়াদ ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। রিয়াদ ভাই বলছিলেন, ওকে ওর মতো বল করতে দে। তো ডট বল করার চেষ্টাতেই সফল হয়েছি।’
অধিনায়ক রিয়াদ আর সিনিয়র পার্টনার সাকিবের প্রশংসা করে নাসুম যোগ করেন, ‘আমরা যে রান করছি ওটাতে ডিফেন্ড করা সম্ভব ছিল। আমাদের চেষ্টাও ছিল সে সঙ্গে উইকেটেও সাহায্য ছিল। আমরা সেটাও কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩ ওভারে ৩৭ রান দেয়ার কথা মাথায় ছিল। তাই গতকাল সোমবার প্র্যাকটিসে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো যখন তাকে খেলানোর কথা বলেন, তখন ওই চিন্তাই মাথায় এসেছিল। তা জানিয়ে নাসুম বলেন, ‘কালকে যখন নেটে বল করছিলাম তখন কোচ আমাকে বললেন যে কাল তুমি খেলবে। তাই তোমার ওপর অনেক দায়িত্ব। সেখান থেকেই আমি ভাবছিলাম খেললে আমি কি করবো। শেষ একটা ম্যাচে একটু বাজে বল করেছি।’
নাসুম জানালেন, পুরো দল অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর কথাই ভেবেছে বেশি। আর তাই মুখে এমন কথা, ‘অস্ট্রেলিয়া দলকে হারানোর ব্যাপারে একটাই চিন্তা ছিল যে আমরা জিতবো। কাল আমি দোয়াও করছিলাম যে, আল্লাহ এখনও আমরা একটা ম্যাচও জিতিনি যেন এবার জিততে পারি। তো সবাই মিলে চেষ্টা করেছি, আলহামদুলিল্লাহ সফল হয়েছি।’
আপনার মতামত লিখুন :